মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া ::
পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়াম্যান ও আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্টিতব্য ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী জামায়াত নেতা শহিদুল মোস্তফার বিরুদ্ধে সাধারন ভোটারদের মাঝে ও বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসার সভায় নগদ টাকা বিতরণ করে ভোট কেনার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। জামায়াত প্রার্থীর টাকার বিনিময়ে ভোট কেনার বিষয়টি আজ রোববার প্রকাশ হয়ে পড়লে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করে টাকার বিনিময়ে ভোট কেনার সাথে জড়িত জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছেনা পেকুয়ায় দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, জামায়াত নেতা শহিদুল মোস্তফা চৌধুরীর নির্বাচনী প্রচারণার জন্য চালু করা ‘মগনামা নাগরিক ঐক্য পরিষদ’ এর ফেসবুক একাউন্টে আজ ২০ মার্চ ভোটারদের মাঝে টাকা বিতরনের তিনটি ছবি পোষ্ট করা হয়। যার প্রমানপত্র এ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। ছবিটি ফেসবুকে প্রকাশের সাথে সাথে পুরো পেকুয়াজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। ভোটারদের টাকা বিতরনের দায়ে বিভিন্ন মহল থেকে শহিদুল মোস্তফাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়ার দাবী উঠেছে।
এদিকে মগনামা ইউনিয়নের একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, জামায়াত নেতা ও শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বিগত ৫ বছরে চেয়ারম্যান থাকাকালে সরকারী বিভিন্ন প্রকল্প থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। আর এখন নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় কালো টাকা দিয়ে ভোট কেনার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ভোটারদের টাকা বিতরনের ছবি ফেসবুকেও ছড়িয়ে দিচ্ছে ওই জামায়াত নেতা। এ ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দাবী উঠেছে মগনামার সচেতন মহল থেকে।
জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী কোন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনী তফশিল ঘোষনার পর ভোটারদের প্রভাবিত করতে টাকা বিতরণসহ কোন উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন করতে পারবেনা। কিন্তু মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের জামায়াতের চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল মোস্তফা চৌধুরী তার ভাড়াড়ে কর্মীদের মাধ্যমে ও নিজে মগনামার ৯টি ওয়ার্ড়ের প্রতিটি পাড়া-মহলল্লার ভোটারদের মাঝে নগদে টাকা বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে ভোটদের প্রভাবিত করে টাকা বিতরনের সাথে জড়িত জামায়াত নেতা ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল মোস্তফা চৌধুরীর প্রার্থীতা বাতিলসহ তার গ্রেফতার দাবী করেছেন মগনামা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতকর্মীরা।
ভোটারদের টাকা বিতরনের বিষয়ে জানতে রোববার রাত ৭টা ৫৯ মিনিটে শহিদুল মোস্তফার মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি বলেন‘ আমি এখন একটি ওয়াজ মাহফিলে আছি; পরে আপনার সাথে কথা বলবো।’ এদিকে বক্তব্য নেওয়ার জন্য রাত ৯টায় আবারো ফোন করা হলে জামায়াত নেতা শহিদুল মোস্তফা ফোস রিসিভ করেনি। তাই তার বক্তব্য সংযোজন করা সম্ভব হয়নি। পরে তার বক্তব্য পাওয়া গেলে গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করা হবে।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, মগনামার ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী জামায়াত নেতা শহিদুল মোস্তফার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পাঠকের মতামত: